ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৪৬

মণিপুরী ইলিশ! পুকুরেই চাষ, দারুণ স্বাদ 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:৪১ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই চেনেন না। এটাও ইলিশ, তবে নামটা মণিপুরী ইলিশ। দেখতে দেশি পুঁটিমাছের আদলের। তবে পুঁটির থেকে আকারে ঢের বড়। স্বাদে একেবারে ইলিশের মতো। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, ভাতার, মেমারি ২-সহ কয়েকটি ব্লকে মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় মণিপুরী ইলিশ বা পেংবা মাছের চাষ শুরু হয়েছে। ইলিশের জায়গায় পেংবা সকলের মন জয় করে নিতে পারবে বলে আশাবাদী বলে মনে করছেন মৎস বিশেষজ্ঞরা।

পেংবা মাছের প্রচলিত নাম মণিপুরী ইলিশ। মণিপুরে এই মাছের দেখা মেলে। মণিপুরবাসীর অত্যন্ত প্রিয় এই মাছ। অতুলনীয় স্বাদের জন্য এই মাছের চাহিদা রয়েছে। লুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায় থাকা এই মাছের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে উড়িষ্যার সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার আ্যকোয়া কালচার বা সিফার মৎস বিজ্ঞানীরা সফলতা লাভ করেন। কৃষি তথ্য উপদেষ্টা কেন্দ্র (আতমা) এবং মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় পেংবা মাছের চারা এনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকে চাষ শুরু হয়েছে। 

মূলত চীনের ইউহান প্রদেশের নদীতে, হ্রদে, মায়ানমারের চিন্দুইন এলাকার জলাশয়ে এবং মণিপুরে এই পেংবা মাছ পাওয়া যায়। বর্তমানে অন্যান্য এলাকায় পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেংবা চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শীতপ্রধান অঞ্চলের মাছ হলেও বেশি তাপমাত্রাতেও তা চাষ করা সম্ভব। 

এই মাছের জন্য খাবার হিসাবে চালের কুঁড়ো, বাদাম খোলের গুড়ো সমান অনুপাতে মিশিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়।

বাংলাদেশের ঝিনাইদহের মহেশপুরেও মণিপুরী ইলিশ চাষের খবর চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। মহেশপুরের মৎস্যচাষীরা প্রথম এই মণিপুী ইলিশের চাষ করেছেন। উপজেলার বাশবাড়িয়া ও পান্তাপাড়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে প্রায় অর্ধশত পুকুরে ১২ লাখ পোনা ছাড়া হয়। মিঠাপানিতে উৎপাদিত এই মাছ বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হলে ইলিশের চাহিদা অনেকটা পুরণের পাশাপাশি চাষীরাও লাভবান হবেন।